বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হেলেন কিলার এবং নেলসন মেন্ডেলাও পেরেছিল আপনিও পারবেন

হেলেন কিলার এর নাম শুনেছেন কখনও ? হেলেন কিলার হলেন একজন আমেরিকান লেখিকা । যখন তার বয়স ১৯ মাস তখন হেলেন কিলার বধির এবং অন্ধ হয়ে যান । তার বধিরতা এবং অন্ধত্ব তাকে থামাতে পারে নি । সেই প্রথম  বধির এবং অন্ধ ব্যক্তি যে কিনা  Bachelor of Arts degree অর্জন করেছিলো ।  হেলেন কিলার  সাফল্য লাভ করতে পেরেছিল কেন পেরেছিল জানেন ? কারন হেলেন কিলার একজন কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন । সবথেকে বড় কথা সে যা করত তার প্রতি তার গভীর  ভালবাসা ছিল । সে তার কাজ কে ভালবাসত । হেলেন কিলার  তার হৃদয় , মন ও  আত্মা এবং কর্মের মাধ্যমে  সাফলতা লাভ করেছিল ।


নেলসন মেন্ডেলা ২৭ বছর কারাবাস বরন করেছিলেন তার দেশ থেকে বর্ণবাদ দূর করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে । তিনি ৭৬ বছর বয়েসে সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ।নেলসন মেন্ডেলা পেরেছিলেন কারন তার ইচ্ছা শক্তি খুবই প্রবল ছিল । নেলসন মেন্ডেলা পেরেছিলেন কারন তার মন এবং আত্মাকে সপে দিয়েছিলেন তার দেশ থেকে বর্ণবাদ দূর করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য । 

ইতিহাস ঘাঁটুন । দেখতে পাবেন সব মনিষীরা সাফল্য লাভ করছিল তার পিছনে আসল কারন ছিল তাদের কঠোর পরিশ্রম , কাজের প্রতি সম্মান  এবং কাজের প্রতি ভালবাসার কারনে । তারা তাদের সাফলতা লাভের জন্য নিজের মন , আত্মাকে সেই কাজের মধ্যে সপে দিয়েছিলেন । তারাও শুরুর দিকে বিফল হয়েছিল কিন্তু তারা তাদের বিফলতা থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন। তারা কিন্তু হাল ছাড়েন নি । 

সাফল্যের রাস্তা এত সহজ নয় । আপনার লক্ষ কে বড় করুন ।  যদি আপনার লক্ষ বড় না হয়ে ছোট হয় তাহলে আপনার অর্জনও ছোট হবে । কিন্তু লক্ষ বড় হলে  আপনি বড় সাফল্য লাভ করতে পারবেন । 
Share:

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

আপনি কে ? | Who are you ?

আপনার জীবনে সবথেকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ  দিন কোন টি বলতে পারবেন ? না বলতে পারলে সমস্যা নেই , আমিই বলে দিচ্ছি ।  সবথেকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ  দিনের প্রথম টি হলো যেদিন আপনি  প্রথম পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখেছিলেন অর্থাৎ আপনার জন্মের দিন । আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ  দুইটি দিনের  দ্বিতীয়টি  হল যেদিন আপনি খুজে বের করতে পারবেন কেন আপনি  জন্মেছিলেন । আমি সেই কিছু সংখ্যক লোকের মধ্যে অন্যতম যে কিনা আপনার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ  দুইটি দিনের  দ্বিতীয়টি খুজে বের করতে সাহায্য করতে পারি । সুতরাং এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল "আসলেই আপনি কে ?" 

আপনি  কে  সেটা  আপনার নাম দ্বারা বোঝা যায় না । আপনি কে সেটা আপনার উচ্চতা ,বা  আপনার কতটুকু ওজন তা দিয়ে বোঝা যায় না ।  আপনি কে সেটা আপনার বয়স কিংবা আপনি কোথায় থাকেন বা কোথা থেকে এসেছেন সেটা দ্বারা বোঝা যায় না ।  তাহলে  আপনি কে ? কে আপনি? আপনি কে সেটা বোঝা যায় আপনার সবথেকে পছন্দের বই থেকে সুতরাং you are your favourite  books । যে গান আপনার মাথায় সব সময়ে আসে , যে চিন্তা  আপনি সব সময়ে করে থাকেন সেটাই আপনি ।আপনি সেই যেটা আপনি অনুসারন করেন ।  যদি আপনি অর্থ অনুসরণ করেন তবে আপনি কেবলমাত্র এইরকমই খোঁজ পাবেন, আপনাকে সবাইকে এটি প্রদান করে। আপনার মধ্যে যে হাজার জিনিস রয়েছে সেটাই আপনি । কিন্তু সবাই আপনার মধ্যে মিলিয়ন জিনিস দেখতে চায় কিন্তু  সে আপনি তা নন । সুতরাং আপনি কোথায় থাকেন , কোথায় যান  সেটা আপনি নন ।
একটা জিনিস সব সময়ে মাথায় রাখবেন আপনি সৌন্দর্য নিয়ে জন্ম নেন নি, আপনার সৌন্দর্য আপনি কে  তৈরি করতে হবে।আপনার সৌন্দর্য আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে । আপনার বাইরের সৌন্দর্য  থেকে আপনার ভিতরের সৌন্দর্য  আরো গুরুত্বপূর্ণ । 





Share:

সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কমেডির সব থেকে খারাপ দিকটি কি হতে পারে ?

কমেডি দেখতে সবারই ভাল লাগে । আমারও ভাল লাগে । এটা আপনাকে হাসতে সাহায্য করে , অন্যকে হাসাতে  সাহায্য করে। হয়ত সারাদিনের শত ক্লান্তি মুছে দিতে কমেডি টাইপের শো গুলো খুবই কাজে দেয় । হয়তো বা আপনার মলিন মুখে হাসি ফুটাতে খুব সাহায্য করে এই কমেডি শো গুলো । বিভিন্ন ধরনের কমেডি রয়েছে । আপনারা খেয়াল করে দেখবেন  বিভিন্ন ধরনের কমেডি শো যেমন  স্ট্যান্ডার্ড কমেডি , কমেডি কার্টুন , বা যে সব বিখ্যাত কমেডি অনুষ্ঠান আছে  সেখানে একটি বিশেষ জাতিকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয় । যেমন কাল বর্ণ বা সাদা বর্ণ নিয়ে ঠাট্টা , আরবদের নিয়ে ঠাট্টা , ইন্ডিয়ান , বাংলাদেশী , পাকিস্তানীরা একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা করে । তারা ব্যাঙ্গ করে কিভাবে তারা হাটে , কিভাবে কথা বলে , কিংবা কিভাবে তারা খায় । তারা তাদের পোশাক নিয়ে তামাশা করে । তাদের চলন নিয়েও তারা ব্যাঙ্গ করে । আর যখন কমেডিয়ানরা এসব বলে থাকে তখন যারা এইগুলো শুনে থাকে তারা মজা পেয়ে থাকে ।

কমেডিয়ানদের এইধরনের কৌতুক করা উচিত নয় । এটা কোন ভাল কিছু নয় । এটা এমন কিছু নয় যেটা অন্যদের প্রতি আপনার মনে সম্মান বোধ সৃষ্টি করবে সংস্কৃতির দিক  থেকে । বরং এটা অসহিস্নুতার ধারনা সৃষ্টি করে । অন্যদের নিয়ে হাসা হাসি করা , বা তাদের নিচু মনে করা তাদের থেকে নিজেকে  ভাল মনে করার একটা প্রবনতা তৈরি করে ।

এটা বলছিনা কমেডি করা খারাপ বরং এটা বুঝানোর চেষ্টা করছি উপরিক্ত বিষয়ে নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ঠাট্টা বিদ্রূপ করলে আপনার মনে হয়ত এই ধারনা সৃষ্টি হতে পারে তারা মনে হয়ই এমনই । এটা মজা দিয়ে শুরু হয় কিন্তু পরে সেটা দোষ ধরাতে যেয়ে শেষ হয় ।  আপনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন যাদের নিয়ে আপনি এমনটা বলেছেন তারা হয়ত সত্যি এমন । পুরোপুরি সেরকম যেমনটা আপনি বলেছেন । সুতরাং এমন কোন কিছু নিয়ে কমেডি করা উচিত নয় যেটা সমাজের মধ্যে অপসংস্কৃতির সৃষ্টি করে বা  অন্যদের সম্মানের হানি করে  কিংবা এমন কিছুর সৃষ্টি করে যেটা পরে ক্ষতির  কারন সৃষ্টি করতে পারে । 
Share: